উপাত্ত কাকে বলে? উপাত্তের প্রকারভেদ
উপাত্ত বা ডাটা কি?
নির্দিষ্ট কোন চলক বা একজাতীয় চলকের গুণগত এবং পরিমাণগত বৈশিষ্ট্য প্রকাশকারী তথ্যকেই বলা হয় উপাত্ত বা Data।
সংজ্ঞা ২:
পরিসংখ্যানে গণনা কিংবা পরিমাপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যকেই বলা হয় data বা উপাত্ত। উপাত্তই হল পরিসংখ্যানের মূল উপজীব্য বিষয়। সংখ্যার সাহায্যে তথ্যের উপস্থাপন করাকে বলা হয় পরিসংখ্যান; আর পরিসংখ্যানে ব্যবহৃত সেই তথ্য নির্দেশক সংখ্যাগুলোই হল উপাত্ত বা ডাটা।
যেমন -
- ৫ জন শিক্ষার্থীর ওজন যথাক্রমে ৫২, ৫৭, ৫৫, ৬১, ৪৯ কেজি - এই সংখ্যাগুলো হল উপাত্ত, কারণ তথ্যগুলো গুণগত এবং পরিমাণগত বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করছে।
- ২ জন শিক্ষার্থী কামাল এবং জাহিদ; কামাল জাহিদের চেয়ে দ্রুত দৌড়াতে পারে - এটি উপাত্ত নয়; কেননা এই তথ্যটি তুলনাকে নির্দেশ করতে পারলে গুণকে ও পরিমাণকে নির্দেশ করতে ব্যর্থ।
উপাত্তের প্রকারভেদ:
তথ্য সংগ্রহের উৎসের ভিত্তিতে উপাত্ত ২ ধরণের হয়ে থাকে।
- প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উপাত্ত
- মাধ্যমিক বা পরোক্ষ উপাত্ত
প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উপাত্ত:
উপাত্ত যদি উৎস থেকে সরাসরি সংগৃহীত হয়, তবে সেসব উপাত্তকে প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উপাত্ত বলা হয়। এধরণের উপাত্ত ব্যবহার করা হলে গবেষণা বা পরিসংখ্যানের প্রাপ্ত ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতা বেশি থাকে।
যেমন - বার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত ফলাফল এর উপাত্ত
মাধ্যমিক বা পরোক্ষ উপাত্ত:
সরাসরি উৎস থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করা সম্ভব না হলে পরোক্ষ কোন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা থেকে সেসব সংগ্রহ করে কাজ করতে হয়, এধরণের উপাত্তকে মাধ্যমিক বা পরোক্ষ উপাত্ত বলা হয়ে থাকে। পরিসংখ্যান বা গবেষণায় এধরণের তথ্য ব্যবহার করা হলে প্রাপ্ত ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
যেমন - বিশ্বের বিভিন্ন শহরের তাপমাত্রা বা বৃষ্টিপাত সংশ্লিষ্ট উপাত্ত
তথ্যের বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যানে উপাত্ত ২ ধরণের হয়ে থাকে।
- বিন্যস্ত উপাত্ত
- অবিন্যস্ত উপাত্ত
বিন্যস্ত উপাত্ত:
সংগৃহীত উপাত্তকে কোন বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিন্যাস করা হলে সেধরণের উপাত্তকে বিন্যস্ত উপাত্ত বলা হয়ে থাকে। এই বিন্যাস মানের ভিত্তিতে উর্ধ্বক্রম বা অধক্রম, কিংবা অদ্যাক্ষর অনুসারে হতে পারে। বিন্যস্ত উপাদানের সাহায্যে কাজ করা সহজ হয়, ভুলের সম্ভাবনা কম থাকে।
যেমন - ৫ জন শিক্ষার্থীদের ওজন যথাক্রমে, ৪৯, ৫২, ৫৫, ৫৭, ৬১ কেজি।
অবিন্যস্ত উপাত্ত:
সংগৃহীত উপাত্ত কোন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিন্যাস করা সম্ভব না করা হলে, অর্থাৎ এলোমেলো থাকলে সেসব উপাত্তকে অবিন্যস্ত উপাত্ত বলা হয়ে থাকে।
যেমন - ৫ জন শিক্ষার্থীদের ওজন যথাক্রমে, ৫২, ৫৭, ৫৫, ৬১, ৪৯ কেজি।
কাজের সুবিদ্ধার্থে সাধারণত অবিন্যস্ত উপাত্তকে কোন না কোন বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে বিন্যস্ত করে নেয়া হয়।
উপাত্তের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে উপাত্তকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
- গুণবাচক উপাত্ত
- পরিমাণবাচক উপাত্ত
গুণবাচক উপাত্ত:
কোন গবেষণা বা পর্যবেক্ষণে নির্দিষ্ট কোন বৈশিষ্ট্য বা গুণের উপস্থিতি, প্রকৃতি, অবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করে উপাত্ত তৈরি করা হয়, সেসব উপাত্তকে বলা হয় গুণবাচক উপাত্ত।
যেমন - মানব দেহে ওষুধ, টীকা বা ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা।
পরিমাণবাচক উপাত্ত:
পরিমাপযোগ্য তথ্যের সাহায্যে প্রাপ্ত পরিমাণ নির্দেশক উপাত্তকে বলা হয়, পরিমাণবাচক উপাত্ত।
যেমন - জরিপ, মানুষের বয়স, আয়, নম্বর ইত্যাদি।
Grammar
Read More
- হিসাব বিজ্ঞান কাকে বলে?
- প্রযুক্তি বলতে কি বুজায়? প্রযুক্তির গুরুত্ব
- Rag Day অর্থ কি? Rag Day এর ইতিহাস, গুরুত্ব ও বর্তমান চিত্র
- গণতন্ত্র কাকে বলে? গণতন্ত্রের মূলস্তম্ভ
- সাব ডিভিশন মানে কি? সাব-ডিভিশন উদ্দেশ্য
- ক্রেডিট মানে কি? ডেবিট-ক্রেডিট নির্নয়ের সূত্র
- Gig Worker কাকে বলে? কীভাবে Gig Worker হিসাবে কাজ পাওয়া যায়?
- স্নাতক এর অর্থ কি?
- C/O বা Care of এর অর্থ কি? এর ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয়তা
- অর্থসহ প্রবাদ বাক্য - বহুল ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় সংগ্রহ